সাম্প্রতিককালে দুধে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতির প্রমাণসম্বলিত প্রফেসর এ বি এম ফারুক স্যার-এর একটি রিপোর্ট নিয়ে চারিদিকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই আলোড়ন গবেষণাগারের সীমা পেরিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত পৌঁছেছে। সাধারণ জনগন সবাই আতঙ্কিত আজ প্যাকেটজাত দেশীয় তরল দুধ নিয়ে। নড়েচড়ে উঠেছে প্রশাসন থেকে সাধারন মানুষ। এই ক্ষেত্রে পদচারণার কারণে নিজেদের আগ্রহ থেকেই রিপোর্টটি সংগ্রহ করে পড়লাম এবং আমাদের সীমিত জ্ঞান দিয়ে বিশ্লেষণ করলাম। আমাদের এই বিশ্লেষণ কারো বিরুদ্ধে নয়, কাউকে হেয় করাও নয়। এটা শুধুমাত্রই বিজ্ঞান দিয়ে বিজ্ঞানকে ব্যাখ্যা করা। শুধু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাই নয় বরং বলা চলে সবার বোধগম্য করে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা।
যেকোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার রিপোর্টে যেমনটি হয়ে থাকে- ভূমিকা (Introduction), পরীক্ষা পদ্ধতি ও উপাদানসমূহ (Materials and methods), ফলাফল (Result) এবং আলোচনা (Discussion)। এই রিপোর্টটিতেও এসবের ব্যত্যয় হয়নি। এবার চলুন আমরা এগিয়ে যাই এই রিপোর্টের হাত ধরে। তবে আলোচনাটি পরার সময় দয়া করে এই মূল রিপোর্টটি অন্য একটি ট্যাবে খুলে করে নিন এখান থেকে https://bit.ly/2YyK6iu
# ১ ভূমিকা (Introduction)
ভূমিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে কারা এই কাজটির সাথে জড়িত এবং কোন গবেষণাগারে এই পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হয়েছে। এরপর এসেছে নানা পরীক্ষার বর্ণনা। তবে পরীক্ষার বর্ণনায় যাবার আগে আসি নমুনা সংগ্রহ নিয়ে।
# ১-১ নমুনা সংগ্রহ ও বিন্যাস (Sample collection and sampling)
যেকোনো পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করার প্রথম ধাপ হলো সঠিক পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহ করা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে এবং এ সম্পর্কিত দিক নির্দেশনার জন্য অনেক বই (Thompson 2012), আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নাল রয়েছে। নমুনা সংগ্রহের ও বিন্যাসে ভুল থাকলে সেই পরীক্ষা থেকে বিশ্বাসযোগ্য ফলাফল আনা যায় না। অবশ্য আমাদের মত আবেগপ্রবণ জাতির কিন্তু একটাই প্রশ্ন থাকবে, “এত কথা বুঝি না, বাজার থেকে একটি দুধের প্যাকেট তুলে নিলেও কেন সেটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যাবে?” আবেগ দিয়ে নয়, বিজ্ঞান দিয়েই এর উত্তর খুঁজে দেখি।
প্রথমেই বলা হয়েছে যে, এই পরীক্ষার জন্য সাতটি প্যাকেটজাত তরল দুধ নেয়া হয়েছে এবং সেই সাথে নেয়া হয়েছে খোলা বাজার (পলাশী বাজার, গাবতলী এবং মোহাম্মদপুর) থেকে তিনটি তরল দুধের নমুনা (২য় পৃষ্ঠার প্রথম প্যারা)। অথচ সূক্ষ্ম ভাবে দেখলে বোঝা যায় একটি নমুনা মোহাম্মদপুর, ও দুটি নমুনা গাবতলি থেকে সংগৃহীত হয়েছিল (৪৮, ৪৯ ও ৫০ পৃষ্ঠায় ক্রোমাটোগ্রামে ডেটা সেইভ পাথ D:\Data দ্রষ্টব্য)। এরকম একটি ক্ষুদ্র কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে লক্ষ্য না রাখাকে নমুনা সংগ্রহের দুর্বলতা নাকি অবহেলা বলবো, সেটা ভেবে দেখবার মত। প্রশ্নবিদ্ধ এই নমুনা সংগ্রহ কিন্তু শুরুতেই এমন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাকে দুর্বল করে দেয়।
# ১-২ পরীক্ষার পুনরাবৃত্তি (Replicate test):
একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় কোনো নমুনার কমপক্ষে তিনটি টেস্ট করা হয়। Reproducibility (পুনঃউৎপাদন) ও replicability (একই পদ্ধতিতে একই বিষয়ে একাধিক পরীক্ষায় একই ফলাফল আনতে পারা) কে একত্রে যে কোন বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার প্রধানতম কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়া (Tools) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে (Berg 2001)। Berg (2001) তাঁর লেখা বইয়ের ৭ নং পৃষ্ঠায় আরও বলেন, “Replicability and reproducibility, after all, are central to the creation and testing of theories and their acceptance by scientific communities”। পুনরাবৃত্তি (Replicate analysis) বিশ্লেষণ ব্যতীত পরিসংখ্যান সংক্রান্ত বিশ্লেষন (Statistical analysis) করা যায়না, পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষন করে ভুল (standard deviation) বের করা যায়না, সর্বোপরি সেটা বিজ্ঞানীদের মাঝেও গ্রহণযোগ্যতা পায়না। আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টটি কিন্তু জানাচ্ছে যে, এসব কোনো পুনরাবৃত্তির করা হয়নি। এখানে প্রতিটি নমুনা শুধুমাত্র একবার পরীক্ষা করেই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা হোক কিংবা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা হোক পুনরাবৃত্তি অত্যন্ত জরুরি। একটা ছোট্ট উদাহরণ দেয়া যাক। কোন একটি পরীক্ষায় ১০০ টি স্যাম্পল এর মাঝে ৫টি স্যাম্পল এ দূষণ থাকা আর সংগৃহীত ১টি স্যাম্পল এর মাঝে দূষণ পাওয়া পরিসংখ্যান এর ভাষায় একই ধরনের নয়। এই রিপোর্টটি ক্রমেই নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেই যাচ্ছে।
# ১-৩ মানদন্ডী নমুনা (Control sample)
এধরনের একটি পরিমাণগত পরীক্ষায় (Quantitative test) মানদন্ডী নমুনা (Control sample) রাখা অবশ্যকর্তব্য ছিল (Johnson and Besselsen 2002)। এর চেয়ে বেশী জানতে “Why Do Experimental Procedures Include Control Samples?” এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন https://bit.ly/2YhtZdR । এই রিপোর্টটিতে বেশিরভাগ পরীক্ষাতেই কোনো মানদন্ডী নমুনা নেই এবং যে পরীক্ষাতে মানদন্ডী নমুনা আছে সেখানেও তাঁর ব্যবহারবিধি প্রশ্নবিদ্ধ ( অনুচ্ছেদ ২-৪) । মানদন্ডী নমুনা ছাড়া এরকম একটি বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণযোগ্য নয়।
# ১-৪ ব্লাইন্ড পদ্ধতিঃ
এই রিপোর্টটিতে দশটি নমুনাকে B1, B2, …… B10 নাম দেয়া হয়েছে যা ব্লাইন্ড এনালাইসিস হিসেবে স্বীকৃত। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বর্তমানে ডাবল ব্লাইন্ড এনালাইসিস করা হয় যাতে করে কেউ পরীক্ষা করার সময় পক্ষপাতিত্ব না করতে পারেন। ডাবল ব্লাইন্ড এনালাইসিস-এ নমুনাসমূহকে অজানা নমুনা হিসেবে পরীক্ষাকারীর কাছে দেয়া হয় এবং অজানা নমুনা হিসেবে ফলাফল পাওয়ার পর অজানা নমুনার বিপরীতে সত্যিকার নমুনার নাম প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে ঠিক তা হয়নি এক্ষেত্রে। ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, রিপোর্ট লিখার সময় এই B1, B2, …… B10 নাম দেয়া হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নয়। প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের ক্রোমাটোগ্রামে দেখা যাচ্ছে কোন কোম্পানির দুধ এনালাইসিস করা হচ্ছে (ক্রোমাটোগ্রাম দ্রষ্টব্য, পৃষ্ঠা ২৬-৫০)। আর এই পরীক্ষার নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্যই কিন্তু ব্লাইন্ড এনালাইসিস এর অবতারণা; কিন্তু ক্রোমাটোগ্রাম এর ডেটা সেইভ পাথ-এ প্রতিটি কোম্পানির দুধের নাম থাকাটা ব্লাইন্ড এনালাইসিস পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এখানে কেউ কেউ বলতে পারেন, HPLC-তে তো মেশিন রিডিং দিচ্ছে, এবং সেই ক্রোমাটোগ্রাম রিপোর্টে দেখানো হয়েছে। মেশিন তো আর কোম্পানির নাম দেখে পক্ষপাতিত্ব করবে না। মেশিন পক্ষপাতিত্ব করবে না ঠিকই কিন্তু মানুষ তো পক্ষপাতিত্ব করতেই পারেন।
# ২ ফলাফল (Result)
# ২-১ আমিষের পরিমাণ (Protien content)
এই রিপোর্টটিতে আমিষের পরিমাণ নির্ণয়- এর জন্য ফ্যাট (চর্বি) কন্টেন্ট এর সূত্র দেয়া এবং ব্যাখ্যা করা হয়েছে (রিপোর্টের পৃষ্ঠা ৬ দ্রষ্টব্য)। অতঃপর প্রতিটি দুধের নমুনার আমিষের পরিমাণের উল্লেখ করা হয়েছে (টেবিল ২, পৃষ্ঠা ৬ দ্রষ্টব্য)। রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি নমুনার আমিষের এই পরিমানকে আমরা ভুল তথ্যই বলবো কেননা ভুল সূত্র ব্যবহার করে এসব প্রস্তুত করা হয়েছে বলে রিপোর্টে দৃশ্যমান।
# ২-২ ফ্যাট এবং সলিড-নট-ফ্যাট
এই রিপোর্টে উল্লেখিত দুধের ফ্যাট পরিমাপের সময় (টেবিল ১, পৃষ্ঠা ৫) বিএসটিআই অনুমোদিত ফ্যাটের শতকরা পরিমাণ উল্লেখিত হয়েছে কমপক্ষে ৩.৫ (বিএসটিআই এর সঠিক স্ট্যান্ডার্ড)। কিন্তু এই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে যখন প্রেস রিলিজ হলো তখন লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, সেখানে বিএসটিআই অনুমোদিত ফ্যাটের শতকরা পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৩.৫ এর বেশি। কমপক্ষে ৩.৫% এবং ৩.৫% এর বেশি কখনই এক অর্থ বুঝায় না। এ ঘটনাটিকে আমাদের কাছে বিএসটিআই এর ফ্যাট-এর স্ট্যান্ডার্ডের তথ্য বিকৃতি বলেই মনে হয়েছে।
উপরন্তু বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপনও করা হয়েছে খুবই দায়সারাভাবে। উদাহরনস্বরূপ বলা যায় সলিড-নট-ফ্যাট এর কথা। এক্ষেত্রে ফলাফল উপস্থাপনের সময় দেখা যায় যে প্রাপ্ত ফলাফলে কোনো একক দেখানো হয়নি (পৃষ্ঠা ৮, টেবিল ৩)। এধরনের অসচেতনতা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টে কোনোভাবেই কাম্য নয়।
# ২-৩ ভেজাল দেয়ার পদার্থের পরিমাণ (Adulterants)
এই রিপোর্টে পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রস্তুতি ও পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরনের জন্য রেফরেন্স উল্লেখ করা হয়েছে। যখন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধকে নমুনা প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা পদ্ধতির রেফরেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় তখন ঐ প্রবন্ধে উল্লেখিত নমুনা প্রস্তুতি এবং পরীক্ষা পদ্ধতিই সংশ্লিষ্ট পরীক্ষায় অনুসরণ করা হয়েছে বলে বুঝানো হয়।
এই রিপোর্টে দুধে আখের চিনি, স্টার্চ নির্নয়কারী পরীক্ষার জন্য নুমনা প্রস্তুতি ও পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরন করা হয়েছে জার্নাল অফ ক্রোমাটোগ্রাফি A তে পাবলিশড একটি আর্টিকেল অনুযায়ী (Dagnac, Garcia-Chao et al., 2009) (রিপোর্টের পৃষ্ঠা ১৪ দ্রষ্টব্য)। অথচ এই বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধটিতে কোথাও দুধে চিনি বা স্টার্চ নির্ণয়ের কোন দিক নির্দেশনা দেয়া নেই। একারণে এই নমুনা প্রস্তুতি ও পরীক্ষা পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ।
একইভাবে দুধে ইউরিয়া নির্নয় করা হয়েছে Baynes, Dedonder et al. (2016) বর্ণিত একটি পদ্ধতি দিয়ে (রিপোর্টের পৃষ্ঠা ১৫ দ্রষ্টব্য)। অথচ জনাব Baynes ইউরিয়া নির্ণয়ের কোন পদ্ধতিই সেই বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধে দেননি। আবারও ভুল দিক-নির্দেশনা এবং প্রশ্নবিদ্ধ নমুনা প্রস্তুতি ও পরীক্ষা পদ্ধতি।
দুধে সোডিয়াম ক্লোরাইড, নাইট্রেট, হাইপোক্লোরাইড নির্ণয় করা হয়েছে EU Regulation (2009) বর্ণিত পদ্ধতিতে (রিপোর্টের পৃষ্ঠা ১৬, ১৭ দ্রষ্টব্য)। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, প্রদত্ত রেফারেন্সে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কোন আলোচনাই নেই। তালিকা আর দীর্ঘায়িত না করি, প্রায় সবগুলো রেফারেন্সের একই অবস্থা। যদিও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, যেসব পদ্ধতি বিএসটিআই থেকে দেয়া নেই সেসব পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল থেকে (২য় পৃষ্ঠার ২য় প্যারা দ্রষ্টব্য) পদ্ধতি নেয়া হয়েছে; কিন্তু এই রিপোর্টে আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় জার্নালের পরীক্ষা পদ্ধতির রেফারেন্সও (৩য়, ৪র্থ, ৫ম পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য) পেয়েছি যা রিপোর্টে প্রদেয় তথ্যর সাথে সামঞ্জস্যহীন (২য় পৃষ্ঠার ২য় প্যারা দ্রষ্টব্য)। আর আন্তর্জাতিক রেফরেন্সের প্রসংঙ্গ টানতে গিয়ে এখানে অসম্ভব রকমের অপ্রাসঙ্গিক রেফারেন্স আনা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ পরীক্ষা পদ্ধতিগুলোও যাচাই করা গেলনা।
# ২-৪ অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি (ক্রোমাটোগ্রাফি)
এবারে আসি বহুল আলোচিত অ্যান্টিবায়োটিক প্রসঙ্গে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়েছে ভেরিফাইড বা যাচাইকৃত পদ্ধতিতে। কোন রেফারেন্স দেয়া হয়নি যে আমরা সেই পদ্ধতি পুণঃনিরীক্ষণ করতে পারি। কেননা বর্তমানে অনেক অনেক যাচাইকৃত পদ্ধতি আছে এবং যেগুলো অনেক সময়ই নির্দিষ্ট পদার্থের জন্যই হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় দেখা যায় একই পদ্ধতিতে একাধিক পদার্থের উপস্থিতিও সনাক্ত করা যায় না কেননা এই সনাক্তকররণ পদ্ধতিগুলো খুবই সংবেদনশীল হয়ে থাকে। এমনকি পরীক্ষায় ব্যব্হৃত নানা প্যারামিটার এর সামান্যতম ভিন্নতার জন্যও ফলাফল ভিন্ন হতে পারে। তাই শুধুমাত্র একটি পদ্ধতি সকল পদার্থের উপস্থিতি সনাক্ত করার জন্য সঠিক পদ্ধতি নাও হতে পারে।
শুধু বুঝানোর জন্যে একটি নমুনা নিয়ে আলোচনা করছি। রিপোর্টে প্রদত্ত প্রতিটি নমুনার মান আলাদা আলাদা ভাবে যাচাই করা হয়েছে। শুরুতেই একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, পৃষ্ঠা ২৫ ও ৩৯ এ অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা প্রকাশ করা হয়েছে মাইক্রোগ্রাম/লিটার এককে। অন্যদিকে ৪০ ও ৪২ পৃষ্ঠায় স্টান্ডার্ড কার্ভে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা দেয়া আছে মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটারে। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড কার্ভের সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল আসবে মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটারে এবং সেই ফলাফলকে মিলিলিটার থেকে লিটারে রূপান্তরিত করতে হবে পৃষ্ঠা ২৫ এবং ৩৯ এর টেবিলের ফলাফল এর সমমানের একক পাওয়ার জন্য । একটি উদাহরন দিয়ে, আসুন একটু নিজেরা হিসাব করে দেখি। নিচের পুরো হিসাবটি গুগল শিটে দিয়ে দেয়া হলো-
https://bit.ly/330wXC2
Ciprofloxacin:
স্টান্ডার্ড লাইন থেকে যে সূত্রটি রিপোর্টে দেখানো হয়েছে তা হচ্ছে (পৃষ্ঠা ৪০ দ্রষ্টব্য)
y=8258*x-18620
এক্ষেত্রে, B6 নমুনা (ইগলু ম্যাঙ্গো মিল্ক), যেটি এপ্রিলের ২১ তারিখে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন পাওয়া গেছে 0.87 μg/L (পৃষ্ঠা ৩৬ এর টেবিল দ্রষ্টব্য)। স্ট্যান্ডার্ড কার্ভে রিপোর্টে প্রাপ্ত ক্রোমাটোগ্রাম ভ্যালু বসিয়ে গাণিতিক সমাধানটি আমরা করে দেখালাম-
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন=((5533+18620))/8258= 2.92 μg/ml= 2.92*1000 μg/L= 2920 μg/L
অন্যদিকে, B6 নমুনা (ইগলু চকোলেট মিল্ক), যেটি জুলাইয়ের ৩ তারিখে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে সিপ্রোফ্লোক্সাসিন পাওয়া গেছে 24.52 μg/L (পৃষ্ঠা ৪৬ এর টেবিল দ্রষ্টব্য)। স্ট্যান্ডার্ড কার্ভে রিপোর্টে প্রাপ্ত ক্রোমাটোগ্রাম ভ্যালু বসিয়ে গাণিতিক সমাধানটি আমরা করে দেখালাম-
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন=((1633+18620))/8258=2.45 μg/ml= 2.45*1000 μg/L= 2450 μg/L
রিপোর্টে প্রদত্ত ক্রোমাটোগ্রাম থেকে এরিয়াগুলো নিয়ে প্রদত্ত স্ট্যান্ডার্ড কার্ভের সূত্র ব্যবহার করে আমরা যে অ্যান্টিবায়োটিক লেভেল পেয়েছি তারসাথে রিপোর্টে প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের চূড়ান্ত পরিমাণের (পৃষ্ঠা ২৫ এবং ৩৯) কোনও মিল নেই। সকল নমুনাই রিপোর্টে প্রদত্ত সূত্রে ফেললে একই অবস্থা। একটিতেও সঠিক হিসাবের সংখ্যা পাওয়া যায়নি।
অন্য একটি অ্যান্টিবায়োটিকে নজর দেয়া যাক।
Levofloxacin:
স্টান্ডার্ড লাইন থেকে যে সূত্রটি রিপোর্টে দেখানো হয়েছে তা হচ্ছে (পৃষ্ঠা ৪২ দ্রষ্টব্য)
y=83708*x-17701
এক্ষেত্রেও, যে কোন একটি নমুনা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। আগের মতই B6 নিয়েই কথা বলি। B6 নমুনা (ইগলু ম্যাঙ্গো মিল্ক), যেটি এপ্রিলের ২১ তারিখে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে লিভোফ্লোক্সাসিন পাওয়া গেছে 3.20 μg/L (পৃষ্ঠা ৩৬ এর টেবিল দ্রষ্টব্য)। স্ট্যান্ডার্ড কার্ভে রিপোর্টে প্রাপ্ত ক্রোমাটোগ্রাম ভ্যালু বসিয়ে গাণিতিক সমাধানটি আমরা করে দেখালাম-
লিভোফ্লোক্সাসিন=((250527+17701))/83708= 3.20433 μg/ml= 3.20433*1000 μg/L= 3204.33 μg/L
অন্যদিকে, B6 নমুনা (ইগলু চকোলেট মিল্ক), যেটি জুলাইয়ের ৩ তারিখে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে লিভোফ্লোক্সাসিন পাওয়া গেছে 4.42 μg/L (পৃষ্ঠা ৪৬ এর টেবিল দ্রষ্টব্য)। স্ট্যান্ডার্ড কার্ভে রিপোর্টে প্রাপ্ত ক্রোমাটোগ্রাম ভ্যালু বসিয়ে গাণিতিক সমাধানটি আমরা করে দেখালাম-
লিভোফ্লোক্সাসিন=((19720+17701))/83708= 0.447 μg/ml= 0.447*1000 μg/L= 447.04 μg/L
রিপোর্টে এপ্রিলের ২১ তারিখের B6 স্যাম্পলে (ইগলু ম্যাঙ্গো মিল্ক) লেখা হয়েছে লিভোফ্লোক্সাসিন পাওয়া গেছে 3.2 μg/L (পৃষ্ঠা ২৫ এর টেবিল দ্রষ্টব্য); এ তথ্যটি সঠিক নয়। কেননা প্রথমত ৩.২ মাইক্রোগ্রাম/লিটার নয়, হবে ৩.২ মাইক্রোগ্রাম/মিলিলিটার। আবার জুলাই’ ৩ তারিখের B6 (ইগলু চকোলেট মিল্ক) নমুনার ভ্যালুকে সঠিক সূত্রে ফেলা হলেও চূড়ান্ত ফলাফলে গরমিল লক্ষ্য করা গেছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি লিভোফ্লোক্সাসিনের সঠিক চুড়ান্ত ফলাফলকে অজানা ১০০ দিয়ে ভাগ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য ২১শে এপ্রিলের প্রতিটি নমুনার প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের ফলাফলে সবক্ষেত্রেই অজানা উপায়ে প্রাপ্ত চূড়ান্ত ফলাফল আনা হয়েছে; কেননা এই ফলাফল প্রদত্ত ক্রোমাটোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত সূত্রে ফেললে যে ফলাফল আসে তার সাথে সম্পূর্ন অসামঞ্জস্যপূর্ণ। সেইসাথে ৩রা জুলাই এর প্রতিটি নমুনার প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের ভ্যালু ক্রোমাটোগ্রাম থেকে প্রাপ্ত সঠিক সূত্রে ফেলে গাণিতিক সমাধান করা হলেও চূড়ান্ত ফলাফলে অজানা কারণে ১০০ দ্বারা ভাগ করে এপ্রিলের ২১ তারিখের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের প্রতিটি নমুনার চূড়ান্ত ফলাফলে কখনও ভুল হিসেব, কখনও ভুল একক আর কখনও বা সঠিক গাণিতিক পদ্ধতি হওয়া সত্ত্বেও চূড়ান্ত পর্যায়ে অজানা ১০০ দিয়ে ভাগ করে সুবিধাজনক ফলাফল উপস্থাপিত হয়েছে। মোটের উপর রিপোর্টের প্রদত্ত ক্রোমাটোগ্রাম ভ্যালু এবং সূত্র অনুসরণ করে পাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের চূড়ান্ত ফলাফলের সাথে রিপোর্টে প্রদত্ত চূড়ান্ত ফলাফলের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, এপ্রিলের ২১ তারিখের ও জুলাই-এর ৩ তারিখের গাণিতিক সমাধান করা হয়েছে একই স্ট্যান্ডার্ড সূত্র দিয়ে। এই কাজটা কিভাবে করা হয়েছে বোধগম্য নয়। কেননা এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, একই অ্যান্টিবায়োটিকের দুটি ভিন্ন তারিখে রিটেনশন টাইমে প্রচুর পার্থক্য। এখানে উল্লেখ্য যে, একই মেশিনে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রাপ্ত একই অ্যান্টিবায়োটিকের একাধিক ফলাফলে রিটেনশন টাইম সবসময় এক না হলেও কাছাকাছি এ থাকবে। এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, লিভোফ্লোক্সাসিন-এর ২১ শে এপ্রিলের এনালাইসিসে রিটেনশন টাইম ৪.৬ (গড় পিক এরিয়া ২,৬৫,০০০) এবং ৩রা জুলাই ৭.৩ (গড় পিক এরিয়া ১৪,৪০০)। এই মান দেখে প্রতীয়মান হয় যে, ২১শে এপ্রিল এবং ৩রা জুলাই এ অ্যান্টিবায়োটিক পরিমাপের জন্য আলাদা আলাদা দুটো স্ট্যান্ডার্ড কার্ভ করা অত্যাবশ্যক ছিলো। কিন্তু রিপোর্টি পড়ে যে সন্দেহ আমাদের মনে দানা বাঁধে তা হলো আদৌ কি দুদিন আলাদা আলাদা স্ট্যান্ডার্ড কার্ভ করা হয়েছিলো কিনা। কেননা কোনো ইউনিভার্সাল স্ট্যান্ডার্ড কার্ভ- এর বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই। আর যদি দাবি করা হয় যে, মেশিনই এই স্ট্যান্ডার্ড কার্ভ দিয়েছে তবে মেশিনটির কার্যক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ। সেক্ষেত্রে পুরো অ্যাণ্টিবায়োটিক পরীক্ষাই আবারো প্রশ্নবিদ্ধ।
এখানেই কিন্তু শেষ নয়; এই পরীক্ষায় কোন বিশুদ্ধ অ্যাজিথ্রোমাইসিন- এর নমুনা মেশিনে প্রবাহিত করা হয়নি বলেই রিপোর্টের ফলাফল বিশ্লেষণ করে বুঝা গেল। যেখানে অ্যাজিথ্রোমাইসিন এর জন্য কোনো পরিস্কার মৌলিক পিক-ই দেখানো হয়নি, সেখানে রিপোর্টে কি করে উল্লেখ করা হলো যে সনাক্তকৃত পিকটি (চূঁড়া) অ্যাজিথ্রোমাইসিনের-ই পিক (চূঁড়া)? আর অ্যাজিথ্রোমাইসিনের যে পিকগুলি দেখানো হয়েছে সেগুলো কোনো বিভ্রান্তিহীন পরিস্কার স্বতন্ত্র পিক (চূঁড়া) না; এই গবেষণার ক্ষেত্রে এধরনের পিককে (চূঁড়া) বলা হয় নয়েজ (Noise); যাকে ফলাফল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া পরিত্যাজ্য।
# ২-৫ পরীক্ষা পদ্ধতি শুদ্ধিকরণ ও যন্ত্রের কার্যক্ষমতা নিরূপনঃ
মেশিন দিয়ে নির্ণীত অ্যান্টিবায়োটিকের পরিমাণ আদৌ সঠিক কিনা বা যে প্রক্রিয়া অনুসরন করে দুধের নমুনা থেকে অ্যান্টিবায়োটিক এক্সট্রাক্টশন করা হয়েছে তা সঠিক বা শুদ্ধ (validate) হয়েছে কিনা; বা শুদ্ধ হলেও তা কতটুকু পর্যন্ত নিখুঁত মাত্রায় শুদ্ধতা নির্ণয় করলো তার জন্য অবশ্যই স্পাইকড নমুনা থেকে অ্যাণ্টিবায়োটিকের পুনঃরুদ্ধারের শতকরা পরিমাণ (% of recovery) বের করা আবশ্যক। যা থেকে অ্যান্টিবায়োটিকের সনাক্তকরনের সীমা (LOD) এবং পরিমাপের সীমা (LOQ) বের করা হয়। আদতে এ দুটো বিষয় নিরূপন না করে যন্ত্র হতে প্রাপ্ত ফলাফল কিছু সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয় এবং পুরো প্রক্রিয়াটি প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যায়। উল্লেখিত রিপোর্টে আমরা এধরনের কোনো অ্যানালাইসিস দেখতে পাইনি।
# ২-৬ মানদন্ডী নমুনা (Standard sample)
এক্ষেত্রে সাধারনতঃ প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য একটি বিশুদ্ধ মানদন্ড নেয়া হয় যা একটি সন্দেহমুক্ত মৌলিক পিক (চূঁড়া) দিবে। এই নমুনাটি সাধারনত এমন কোনো দ্রাবকে দ্রবীভূত করা হয় যেখানে অন্য কোনো পদার্থের উপস্থিতি থাকে না এবং শুধুমাত্র উক্ত পদার্থটিরই পিক পরিস্কারভাবে অবলোকন করা যায়। এই রিপোর্টিতে পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরন করতে গিয়ে লক্ষ্য করা গেলো যে সব বিশুদ্ধ অ্যাণ্টিবায়োটিক একসাথে মিশিয়ে মানদন্ডী নমুনা তৈরি করা হয়েছে। এতগুলো বিশুদ্ধ অ্যাণ্টিবায়োটিকের নমুনা কি করে একসাথে মিশিয়ে দেয়া হলো আর সেটা থেকে কিভাবে প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের মৌলিক পিক পৃথক পৃথকভাবে সনাক্ত করা হলো তা দুরবোধ্য।
সবচাইতে মজার বিষয় হলো, বিশুদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক মেশিনে প্রবাহিত করার সময় এই পরীক্ষায় দুধ মিশিয়ে দেয়া হয়েছিলো (২৪ পৃষ্ঠার স্টান্ডার্ড প্রিপারেশন মেথড দ্রষ্টব্য)। যে দুধ মিশানো হয়েছিলো সেখানে যে কোন এন্টিবায়োটিক ছিলনা সেটি কিভাবে নিশ্চিত হওয়া গেল? তাছাড়া এই দুধে যে অ্যান্টিবায়োটিকসমূহের কাছাকাছি পোলারিটির কোনো মল্যিকিউল যে মিশ্রিত ছিল না তাই বা কিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে কিছুই উল্লেখ করা হলো না এই রিপোর্টে। মানদন্ডী নমুনাতে মিশ্রিত করা এই দুধ নিজেই একটি বড় প্রশ্ন। তাই মানদণ্ডী নমুনাতে সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয় এমন দুধের ব্যবহারে আন্টিবায়োটিক সনাক্তকরনের পুরো পদ্ধতিই বারবার প্রশ্নবিদ্ধ।
# ২-৭ সর্বোচ্চ অবশিষ্টাংশের সীমা (MRL)
এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বোল্ড অক্ষরে “Antibiotic should not be present in any milk samples” (পৃষ্ঠা ২৪ দ্রষ্টব্য)। কোথায় পাওয়া গেল “Antibiotic should not be present in any milk samples” এর সত্যতা? টক্সিকোলজির কিছু গুরত্বপূর্ন বিষয়- সর্বোচ্চ অবশিষ্টাংশের সীমা (Maximum residue limit), প্রতিদিনের গ্রহণযোগ্যতার মাত্রা (Acceptable Daily intake) কিংবা প্রত্যাহার কাল (withdrawal period)-এর সাথে রিপোর্টে প্রাপ্ত অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রার সাথে কোনো তুলনা বা সম্পর্ক স্থাপন করা হয়নি। পরীক্ষার রিপোর্টটি প্রকাশের আগে এই হোমওয়ার্ক- এর প্রয়োজন ছিল। কেননা এধরনের খাদ্যনিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি এবং উপস্থিতির পরিমাণের সাথে বৈজ্ঞানিক এবং জননিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাখ্যা অত্যাবশ্যক। বৈজ্ঞানিক নৈতিকতা অনুযায়ী, কোনো প্রাণীজ উৎসের খাদ্যে অ্যাণ্টিবায়োটিকের বা অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের মাত্রা MRL সীমার মাঝে থাকলে আমরা তাকে ক্ষতিকারক বলবো না কিংবা জনগণকে বিভ্রান্ত করবো না।
এতক্ষণ আমাদের এই লেখাটা পড়ার পর আশা করি উল্লেখিত রিপোর্টটির বৈজ্ঞানিক গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এই রিপোর্টটি সার্বিক পর্যালোচনায় যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করার জন্য সে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া অত্যাবশ্যক।
উল্লেখ্য, এই বিশ্লেষণ কে আমলে নিয়ে চ্যানেল ২৪ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনটি নিচে দেওয়া হল
পরিকল্পনা ও সমন্বয়ঃ
ড. মোঃ নাহিদুল ইসলাম, খাদ্য গবেষক, অরহুস বিশ্ববিদ্যালয়, ডেনমার্ক nahidulislam.life@gmail.com
পূর্বা ইসলাম, অ্যাাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও পি এইচ ডি ছাত্র, নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য purba23@gmail.com
ডা জান্নাতুল ফেরদৌস, অ্যাাসিসস্ট্যান্ট প্রফেসর, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় jannatul607@gmail.com
ডা মোঃ সব্যসাচী, অ্যাাসিসস্ট্যান্ট প্রফেসর, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় sabbyasachi.bau@gmail.com
বিশেষজ্ঞ লেখকবৃন্দঃ
ড. মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, প্রফেসর, মেডিসিন বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় taohid@bau.edu.bd
ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান শিকদার, প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় drmsikder@bau.edu.bd
ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম, প্রফেসর, ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগ, পশুপালন অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ashiq_ds@yahoo.com
ড. কে. বি. এম. সাইফুল ইসলাম, চেয়ারম্যান ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, মেডিসিন ও পাবলিক হেলথ বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় vetkbm@yahoo.com
ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, মাইক্রোব্যোলজি এন্ড হাইজিন বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় mpsiddique77@gmail.com
ড. মোঃ জহুরুল ইসলাম, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ফার্মাকোলজি বিভাগ, ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় khokonpharma@gmail.com