বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিষ্ট (BSM)ও অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর যৌথ আয়োজনে ডেঙ্গু রোগের উপর এক সেমিনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গুর প্রতিরোধে গবেষণা তহবিল ও সমন্বিত সেল গঠনের তাগিদ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় “Dengue Situation in Bangladesh: Strategies for Prevention and Control”।
এতে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআর,বি-র প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. এ এস এম আলমগীর, ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফ উল্লাহ মুন্সী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাইক্রোবায়োলজিষ্টস (BSM)-এর সদস্যবৃন্দের স্বতর্স্ফুত উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বাংলাদেশে ডেঙ্গর প্রাদুর্ভাব এবং এই রোগ থেকে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়
বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়ে আসছে উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন, এ দেশের তাপমাত্রা, আদ্রর্তা ও বৃষ্টি এর প্রধান সহায়ক। মশার দুই ধরনের প্রজাতি Aedes aegypti ও A. albopictus এর মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়ায়। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের প্রধান সময় বর্ষার আগে ও পরে। বিশেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তাই ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল এ মশা নিধন অভিযান করা প্রয়োজন।
তারা বলেন, মশক নিধনের পাশাপাশি নিজ নিজ বাড়ীর আশেপাশে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা এবং এই বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আলোচকবৃন্দ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীদের আতংকগ্রস্ত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষত যে সকল রোগীর পূর্বে ডেঙ্গু আক্রান্তের ইতিহাস আছে অথবা যারা একই সাথে অন্য কোন রোগে আক্রান্ত তারা অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ।
ডেঙ্গু রোধে ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ডেঙ্গু রোগের দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে গবেষণা তহবিল গঠন ও সমন্বিত গবেষণা সেল গঠন করে গবেষণা পরিচালনা করা এখন সময়ের দাবি বলে এই সভা মনে করেন।