2015-07-05 09:32:56
খুশির খবর, বাংলাদেশে বিজ্ঞানীদের আরও একটা প্রফেশনাল সংঘঠন সৃষ্টি হল। ফলিত বিজ্ঞান বায়োটেকনোলজি’র গ্রাজোয়েটরা সারা দেশ থেকে একত্রিত হয়ে এসোশিয়েশন গঠন করেছেন। নাম দিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োটেকনোলজি গ্র্যাজুয়েটস (বিএবিজি)। গতকাল শুক্রবার সন্ধায় তার নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়েছে ধানমন্ডিস্থ ফখরুদ্দিন কনভেনশন সেন্টারে। ইফতার মাহফিল পরবর্তী অনুষ্ঠানে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মুরছালিন বিল্লাহ এবং সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিউট অব বায়োটেকনোলিজ’র সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার পলাশ কুমার কর্মকার।
অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১শে ডিসেম্বর। এই সময়ের মধ্যে অ্যাডহক কমিটিকে তিনটি কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাহলো বিএবিজির লক্ষ ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা, নতুন সংবিধান প্রণয়ণ করাও ২০১৬ সালের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করা।
কমিটিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন ড. মোহাম্মাদ শাহেদুর রহমান (জাবি), ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন (শাবিপ্রবি), নাসরিন জাহান (মভাপ্রবি), শফিউল আলম সজিব (ইওডা), মিরাজ কুমার চৌধুরী (ঢাবি), আমজাদ হোসাইন (চবি) এবং রেজাউল করিম (ইবি)।
এছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে ড. আব্দুল ওয়াহাব খান (ইনসেপ্টা ভ্যাক্সিন লি.)। উদ্যোগতা ক্যাটাগরিতে আব্দুল ওয়াদুদ রাসেল (বায়োটেক কনর্সান) ও আরিফুর রহমান (রুপরেখা)। সরকারি চাকুরিজীবি এস এম সারিদ উল্লাহ (রুপালী ব্যাংক)। আমলা এ এস এম মাহফুজুল আলম (সহকারী সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়)।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইসরাক নূর (আইসিডিডিআরবি) ও মো: জুবাইদুল হোসেন (বিজেআরআই)। প্রোডাক্ট প্রমোশন ও মার্কেটিং এ সেলিম আল দীন (ইনভেন্ট টেকনোলজি), তারিকুল ইসলাম টেকনোওর্থ) ও রেজাউর রহমান (রোশ বাংলাদেশ লিমিটেড)। ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন রিমন মুৎস্দ্দুী (ইউএসটিসি) ও মো: রফিকুল ইসলাম (যবিপ্রবি)।
দেশের প্রায় ২০ টির মতো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শতাধিক গ্র্যাজুয়েট এ ইফতার মাহফিলে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
বায়োটেক গ্রাজোয়েটদের সকল কর্মক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব আছে এই এডহক কমিটিতে বলেই মনে হচ্ছে।
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রীধারী গ্র্যাজুয়েটরাই কেবল এই সংঘঠনের সদস্য/ সভ্য হইতে পারবে বলে সিদান্ত গৃহীত হয়েছে।
ব্যাচেলর ডিগ্রী না থাকলেও যাদের দেশ বিদেশ থেকে বায়োটেকনলজিতে মাস্টার্স ডিগ্রী আছে তাদের এই এসোসিয়েশনের সদস্য করলে বৈচিত্র বা ডাইভার্সিটির যে উপকারিতা তা এই এসোশিয়েন পাইতে পারত শুরু থেকেই। বৈচিত্রহীনতার যে সীমাবদ্ধতা তা থেকেও মুক্ত থাকতে পারত।
যাই হোক, সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে, বিএবিজি বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার গ্রাজুয়েটদের এসোসিয়েশনের মত গতানুগতিক একটা এসোসিয়েশনে পরিণত হবে না; বছরে একটা সায়েন্টিফিক কনফারেন্স আর গ্রাজোয়েটদের চাকরীর দরজা খোলার প্রচেষ্টার মধ্যে নিজদের সীমাবদ্ধ রাখবে না। একদিকে যেমন বায়োটেকনলজি গ্রাজোয়েটদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করার দিকে নজর রাখবে, অন্য দিকে তাদের নেতৃত্ব ও ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বাড়াতেও ভুমিকা রাখবে; ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করবে। আরও যা করতে পারে, তা হচ্ছে বাজেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে কেমন বরাদ্ধ বিজ্ঞানীরা প্রত্যাশা করেন প্রতি বছর বাজেটের আগে তা নিয়ে আলোচনার আয়োজন করতে পারে। বাজেট পাশের পর তার মুল্যায়নও করতে পারে।
এক কথায়, মেধাবী বিজ্ঞান শিক্ষার্থীরদের এই সংঘঠন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের অন্য সংঘঠন গুলির মত গতানুগতিক একটা সংঘঠনে পরিণত হবে না এটাই প্রত্যাশা।