মোঃ আলি আসিফ নূর
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প
বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প, স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমবর্ধমান এই শিল্প বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে একটি। বর্তমানে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বছরে প্রায় ৩০০০ জন ফার্মেসী স্নাতক সম্পন্নকারি শিক্ষার্থীরা ওষুধ শিল্পের বাজারে প্রবেশ করে। সম্প্রতি ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে প্রতি সেমিস্টারে পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশীয় স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং ফার্মাসিস্টদের চাকরি
আমরা কমবেশি সকলেই জানি, স্থানীয় বাজারের ওষুধের চাহিদার মধ্যে ৯৫% ওষুধ, প্রথম সারির ২০টি কোম্পানির মাধ্যমে পুরন হয়ে যায়। প্রতি বছর যে হারে ফার্মেসী স্নাতকদের সংখ্যা বাড়ছে, সে হারে বাড়ছে না ফার্মাসিস্টদের চাকরির ক্ষেত্র।
আমরা যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকাই তাহলে দেখব, সেখানে শিক্ষার্থীরা এক বছর ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পান, যেখানে হাতে কলমে তারা রোগীদের সেবাদানের কাজটির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলতে স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তারদের পাশাপাশী ফার্মাসিস্টদের অংশগ্রহন থাকে। আমাদের দেশের সকল সরকারী-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যেখানে ফার্মেসি শিক্ষা দেওয়া হয়,সেখানকার কর্তৃপক্ষ যদি হাসপাতাল তথা মেডিক্যাল কলেজগুলোর সাথে সমঝোতা করে এবং ফার্মাসিস্টদের কমপক্ষে ছয় মাস হাসপাতালগুলোর বিভিন্ন বিভাগে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয় তাহলে শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসাজনিত বিষয়-ওষুধপথ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো শেখার সুযোগ পাবে।এক্ষেত্রে হাসপাতাল ব্যাবস্থাপনার কাজে এই প্রশিক্ষিত ফার্মা গ্র্যাজুয়েটদেরকে হসপিটাল কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবার নানাবিধ পর্যায়ে কাজে লাগাতে পারে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন বর্ধিত ফার্মাসিস্টদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব, তেমনি সম্ভব আমাদের দেশীয় স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা। যদিও বর্তমানে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার মান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে তবে আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে চাইলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাতে ফার্মাসিস্টদের অংশগ্রহনের আবশ্যিকতা অনস্বীকার্য ।
বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে এই প্রক্রিয়ার প্রচলন কিঞ্চিৎ দুষ্কর হলেও বিশ্ববিদ্যালয়য় কর্তৃপক্ষ- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের আন্তরিকতাই পারে এই প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলতে। আমরা যদি আন্তরিকভাবে আমাদের ফার্মাসেক্টরের উন্নতি চাই, আমাদের মাতৃভূমির স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন চাই তাহলেই আমাদের ভালর জন্য আমরা জা করতে চাই, তা করা সম্ভ